শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার মুন্নী বেগমের বিরুদ্ধে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলেও তাকে সর্বনিম্ন ৫-৬ হাজার টাকা দিতে হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও অডিওতে দেখা যায়, মুন্নী বেগম ভুক্তভোগী এক নারীর কাছ থেকে স্বামী-স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি, আলট্রাসনোগ্রাফির কপি, টিকার কার্ড, মোবাইল নাম্বার এবং নগদ ৫-৬ হাজার টাকা দাবি করেন।
তিনি বলেন, ৪০ হাজার টাকা পাবে, ৫ হাজার টাকা খরচ করতে সমস্যা কি?
ভুক্তভোগী তালহা জুবায়ের জানিয়েছেন, তিনি একা টাকা খায় না, সবাই ভাগাভাগি করে নেয়।
মুন্নী বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে তার বক্তব্য, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেই না। আগে কেউ খুশি হয়ে কিছু দিত, এখন তাও নেই।
বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মলিনা নাসরিন বলেন, তার সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতিমা নাহিয়ান বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতা দিতে কোনো টাকা নেওয়া হয় না এবং কেউ যদি এ ধরনের অনিয়ম করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।