৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসে শেরপুরের দুই উপজেলায় সরকারি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সরব উপস্থিতি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাঁড়ানো নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলার শহীদ সৌরভ চত্বরে মোড়ক উন্মোচনের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলের পাশে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সারোয়ার হোসেন, যিনি ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলার আসামি।
অন্যদিকে, নকলা উপজেলার ১নং গণপদ্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান আবুলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর পাশে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি ও যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঝিনাইগাতী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এখলাছুর রহমান বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে জাতীয় দিবসে কোনো আমন্ত্রণ পাইনি, ছবি তোলার সুযোগ তো দূরের কথা। আজও দেখা যাচ্ছে, প্রশাসনে আওয়ামী ঘরানার লোকজন থেকেই যাচ্ছে।
বিতর্কের মুখে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. আল-আমীন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিকে আমি চিনতাম না। শহীদ সৌরভের বাবার সঙ্গে এসেছিলেন বলে শুনেছি।
নকলার ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি কাউকে দাওয়াত দিইনি। উনি নিজ থেকেই অনুষ্ঠানে এসেছেন।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ঝিনাইগাতীর বিষয়টি শুনে ইউএনওকে ফোন দিয়েছিলাম।
তিনি জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিটিকে চিনতেন না। আর নকলার বিষয়টি আমি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। মামলার আসামি হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।