জামিনে মুক্তি পেলেও কারাগার থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল (৭০)।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরবর্তীতে আরও কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এসব মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন না পেলেও তিনি পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালত থেকে জামিন আদেশ পান। সর্বশেষ একটি মামলায় জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র মঙ্গলবার বিকেলে কারাগারে পৌঁছানোর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে কারাগার গেট থেকে বের হওয়ার সময়ই সদর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে আবারও তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার সময় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তার ছোট ভাই মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. রেজাউল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, ‘তাকে সদর থানা পুলিশ আটক করেছে। আমরা ডিবি থেকে সহযোগিতা করেছি।’
অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।