শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নিমজ্জিত হয়েছে শত শত একর আমন আবাদ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অন্তত ১০টি বাড়ির কাঁচা-পাকা ঘর।
এ ছাড়া ডুবে গেছে ঝিনাইগাতী বাজার ও ঝিনাইগাতী-শেরপুর আঞ্চলিক সড়ক, যা ওই অঞ্চলের একমাত্র প্রধান সড়ক।
এদিকে, সোমেশ্বরী নদীর দুই পাড়ে কয়েক শত বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট করছে।
জানা গেছে, গত দুই দিনের টানা বর্ষণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে চারটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র এক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সংস্কার করলেও নিম্নমানের কাজের কারণে বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার অংশ প্রবল স্রোতে ভেঙে যায়। ফলে ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল ইসলাম রাসেল জানান, ইতোমধ্যে মহারশি নদী রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমাদের বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।
এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও গোখাদ্য মজুত আছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।