সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আলোচিত পূর্ণিমা রানী শীল ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইয়াসিন আলী (৬০) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইয়াসিন আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে তাকে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টায় মারা যান তিনি। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিজ উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামে দাফন করা হয়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার বাবা বিএনপির রাজনীতি করায় আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় প্রায় ১৫ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। তাকে আলোচিত পূর্ণিমা রানী ধর্ষণের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন পূর্ণিমা রানী। এ ঘটনায় তার বাবা অনিল চন্দ্র শীল ১৬ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ১৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১১ সালের ৪ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
অন্য সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল জলিল, আলতাফ হোসেন, আব্দুল মমিন, আলতাফ, জহুরুল ইসলাম, হোসেন আলী, লিটন মিয়া, ইয়াসিন আলী, আব্দুর রউফ, আব্দুল মিয়া ও বাবলু মিয়া।