ঢাকা শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ হুজুরের বিরুদ্ধে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
তাড়াশ থানা। ছবি- সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষ্ণাদিঘী তালিমুন নিসা মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী মোছা. তাছলিমা খাতুন (১১) নামে এক ছাত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

সেদিন দুপুরের খাবার দিতে গিয়ে তাছলিমার মাথা ন্যাড়া দেখতে পান বলে দাবি করেছেন তার মা আবেদান বেগম। সবশেষ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হয়।

তাছলিমা তাড়াশের কৃষ্ণাদিঘী গ্রামের তালিমুল নিসা মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার কেতাব বিভাগের ছাত্রী।

তাছলিমা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে মাদ্রাসার একজন নারী শিক্ষক তাছলিমাকে বলেন, তোমার মাথায় উকুন। বড় চুলের জন্য উকুন হয়েছে। এসো মাথা ন্যাড়া করে দেই। কিছুদিনের মধ্যে আবার চুল বড় হয়ে যাবে। তারপর প্রথমে কাঁচি দিয়ে চুল ছোট করে দেন তিনি। পরে বাজার থেকে শ্যাম্পু কিনে আনেন মাদ্রাসার বড় হুজুর হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল মারুফ। তারপর জোর করে ধরে দুই শিক্ষক তাছলিমাকে ন্যাড়া করে দেন। 

তাছলিমার মা আবেদান বেগম বলেন, প্রতিদিন তিন বেলার খাবার পৌঁছে দিই আমি। ওই দিন মাদ্রাসায় খাবার দিতে গিয়ে দেখি মেয়ের মাথা ন্যাড়া। তার মাথায় তখনও রক্ত ঝড়ছে। পরে আমিও চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

তাছলিমার প্রতিবেশী রুনা পারভিন বলেন, তাছলিমার মাথার চুল ছিল কোমর পর্যন্ত। যখন খোপা বাঁধতো মাথার চেয়ে চুলের খোপা দেখতে বড় লাগতো।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মাদ্রাসার বড় হুজুর হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল মারুফ। তিনি বলেন, ‘তাছলিমার মাথা আমরা ন্যাড়া করে দেইনি। সে ও তার সহপাঠিরা মিলে এই কাজ করেছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করে করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তাড়াশ থানা ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। যদি সতত্যা পাওয়া যায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’