শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম

নদী ইজারা দিল মসজিদ কমিটি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম

গোহালা নদীর আড়াই কিলোমিটার শাখা খাল সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গোহালা নদীর আড়াই কিলোমিটার শাখা খাল সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্থানীয় একটি মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে নদী ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবীর জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উধুনিয়া বাজারে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে গোহালা নদীর আড়াই কিলোমিটার শাখা খাল সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে দর উঠতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় উধুনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লা নদীটির ইজারা নেন। এর আগে উধুনিয়া বাজার জামে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

তবে অভিযোগ উঠেছে, জলমহাল ইজারা দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও তা উপেক্ষা করে মসজিদ কমিটি নদীর আড়াই কিলোমিটার অংশ ইজারা দিয়েছে। এতে করে অন্তত শতাধিক ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী নদীতে মাছ ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মসজিদ কমিটির নিয়ম অনুযায়ী বাংলা আশ্বিন মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত ইজারাদার ব্যতীত কেউ মাছ ধরতে পারবে না। ফলে জীবিকার তাগিদে স্থানীয় জেলেদের ইজারাদারের কাছে টাকা দিয়ে মাছ ধরতে হবে।

উধুনিয়া গ্রামের প্রবীণ মৎস্যজীবী আব্দুল মান্নান ফকির বলেন, তিনি গত ৪০ বছর ধরে এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এবার নদী ইজারা দেওয়ায় তাকে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইজারাদারের কাছে জমা দিতে হবে, নইলে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না।

ফকির আরও বলেন, ‘নদীতে মাছ ধরে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি, এখন যদি ইজারাদারের কাছে টাকা দিয়ে আমাদের মাছ ধরতে হয় তাহলে আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’

ইজারাদার ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, ‘সর্বোচ্চ দর ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় আমি আড়াই কিলোমিটার গোহালা নদীর ইজারা নিয়েছি। মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতেই এটি সম্পন্ন হয়েছে।’

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, নদীতে মাছ ধরার জন্য কোনো মসজিদ কমিটির ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা রিমার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি জলমহাল ডিসেম্বর মাসে নিয়ম অনুযায়ী ইজারা দেওয়া হয়। কেউ চাইলেই নদী ইজারা দিতে পারে না।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, নদী সরকারি সম্পদ। কোনো ব্যক্তি বা কমিটি নদী ইজারা দিতে পারে না। যদি কেউ দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!