মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ১০:৫১ এএম

নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে ব্যর্থ প্রশাসন, জাটকার দখলে মাছ বাজার

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ১০:৫১ এএম

অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। ছবি:  রূপালী বাংলাদেশ

অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য আড়ত ও হাটবাজারে প্রকাশ্যেই চলছে নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশের বেচাকেনা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জাটকা বিক্রি ও বিপণন করা হলেও কার্যকর তদারকির অভাবের অভিযোগ উঠেছে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর উপকূলবর্তী আড়তগুলোতে ছোট আকারের ইলিশের স্তূপ দেখা যাচ্ছে। বড় ইলিশের উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে। আড়তের পাশাপাশি বাজার ও লঞ্চঘাট এলাকায়ও ঝুড়িভর্তি জাটকা খোলা অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘আড়তগুলোতে টনকে টন জাটকা বিক্রি হয়। অথচ এখানে অভিযান দেখা যায় না। মাঝে মাঝে সড়কে পরিবহন তল্লাশি হয়, যাতে সাধারণ যাত্রীরাই হয়রানির শিকার হন।’

স্থানীয়রা জানান, জাটকা ধরার জাল হাটবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু এসব জাল বিক্রির বিরুদ্ধে কখনোই অভিযান চালানো হয়নি।

এ দিকে মৎস্যজীবিদের একটি অংশ দাবি করছে, নদীতে বড় ইলিশের সংকট ও বিকল্প জীবিকার অভাবে তারা বাধ্য হয়েই জাটকা ধরছে। তাদের যুক্তি, ‘আমরা না ধরলেও পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা জাটকা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা।’

 তবে, সচেতন মহল এসব যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না।

সরকারি বিধান অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটারের কম ইলিশ ধরা, পরিবহন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ-২০২৫ অনুযায়ী এ অপরাধে দুই বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য রয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে আইন প্রয়োগের কঠোরতা খুব কম দেখা যায়। ফলে আড়তগুলোর ওপর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আড়ত কর্মী বলেন, ‘প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযানে আসে, কিন্তু কখনোই সচলভাবে জাটকা ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকে না। ছোট জালে মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে, যার কারণে বড় ইলিশ ধরার আগেই হারিয়ে যাচ্ছে।’

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, ‘আড়ত, ট্রলারঘাট ও মাছবাজারগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।’

তবে পরিবেশ ও সেবামূলক সংগঠনগুলো বলছে, নির্বিচারে জাটকা নিধন চলতে থাকলে ইলিশের ভবিষ্যৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বড় ইলিশের ভয়াবহ সংকট এড়াতে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!