সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৪ মাস আগে নির্মিত প্রায় সোয়া কোটি টাকার পাকা রাস্তা ধসে পড়েছে—কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত, আবার কোথাও ধসে পড়েছে রাস্তার পাশের অংশ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
জানা যায়, পাটবন্দর-সাতবাড়িয়া সড়কটিতে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ ছিল দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অর্থায়নে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে এশা অ্যান্ড মারিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটি নির্মাণে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবের আশা করছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের চার মাস যেতেই ধসে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে সড়কের কোথাও কোথাও ধসে গেছে আবার কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পড়ে প্রায়ই রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলের চাকা এবং সাসপেনশন ভেঙে যাচ্ছে।
বেতবাড়ি গ্রামের সানফ্লাওয়ার স্কুলে অফিস সহকারী আব্দুল আলিম বলেন, ‘নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও তদারকির অভাবেই সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তা নতুন হয়েছিল দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম।’
সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আর মামুন বলেন, রাস্তা নির্মাণের সময় পাশে থেকেই মাটি কেটে ফেলা হয়েছিল, তখন থেকেই গর্ত শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যেই তড়িঘড়ি করে পিচ ঢালাই করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এশা অ্যান্ড মারিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ বলেন, নিয়ম মেনেই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারি বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় ক্ষতি হয়েছে।
এলজিইডির উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল্লাহ বলেন, এ বছর প্রবল বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। আমি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবগত করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাটির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন