রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ভবনের বিমে ফাটল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম

খসে পড়া পলেস্তারা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খসে পড়া পলেস্তারা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিনের পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। ৬৪ বছর আগে নির্মিত এ ভবনের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল, পলেস্তারা খসে পড়া, বেঁকে যাওয়া জানালার গ্রিল, ভাঙা দরজার চৌকাঠসহ ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় কাজ করতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬১ সালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ইলিয়াড ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতলা ভবনের নিচতলায় রয়েছে পানি বহনকারী গাড়ির গ্যারেজ ও অফিস কক্ষ। ছাদে রয়েছে পানির ট্যাংক। বহু বছর আগে নির্মিত হওয়ায় ভবনটির প্রায় সব অংশেই দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে ভিমের রড পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছে। ব্যারাক, গ্যারেজ ভবন, অফিস কক্ষের পিলার, দেওয়াল ও কার্নিশেও ফাটল দেখা দিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন ভবন থাকলেও সদর এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির মতো এই পুরোনো ভবনেই চলছে সকল সেবা। অথচ প্রথম শ্রেণির জেলার জন্য প্রয়োজন আধুনিক ও নিরাপদ প্রথম শ্রেণির ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।

কর্মরতদের অভিযোগ, ভবনটি এখন সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী। অফিস কক্ষে ও ব্যারাকে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই বারান্দা ও ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বাস, খাবার, বিশ্রাম সবই করতে হচ্ছে আতঙ্কের মধ্যে। বিশেষ করে ৫-৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ভবনটি সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ভবনটি কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ফায়ার ফাইটার আব্দুর সবুর তালুকদার বলেন, ব্যারাকে থাকার মতো পরিবেশ নেই। ছাদ খসে পড়ে, দেওয়ালে পানি চুইয়ে পড়ে। সবসময়ই আতঙ্কে থাকতে হয়। দ্রুত নতুন ভবন জরুরি।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জানান, ঝুঁকি নিয়ে তাদের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলমান।

সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমাদুল হাসান বলেন, ভবনটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে নানা অংশে ভয়াবহ ফাটল। নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হবে। জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!