বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ ‘অপারেশন টাইগার লাইটনিং’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সন্ত্রাস দমন, শান্তিরক্ষা, জঙ্গল অভিযান এবং বিস্ফোরক ব্যবস্থাপনার মতো বিশেষায়িত বিষয়ে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৩ জুলাই শুরু হওয়া এ মহড়ায় অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ সেনাসদস্য। মূল লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও অপারেশনাল সমন্বয় জোরদার করা।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এ. এস. এম. রিদওয়ানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা মেজর মাহমুদুল হাসান (বাংলাদেশ) এবং মেজর উইস্টিসেন (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, ‘টাইগার লাইটনিং শুধু একটি মহড়া নয়, এটি আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় এর গুরুত্ব অনেক।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অসামান্য ভূমিকার অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। বর্তমানে প্রায় ১,৮০০ নারী সেনা সদস্য মিশনে কাজ করছেন।’
এই মহড়া একটি ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ। বর্তমানে ‘টাইগার শার্ক’ নামে আরেকটি যৌথ মহড়া চলছে, যেখানে স্পেশাল ফোর্স ও নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে। এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সঙ্গে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ নামে আরও একটি যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। পরে অতিথিদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :