সিলেটের বালাগঞ্জে পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে না করায় এক তরুণী ও তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বর্তমানে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শনিবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তরুণী খাদিজা বেগম হাবিবা।
বালাগঞ্জ উপজেলার শিওরখাল (বড়জমাত) গ্রামের মো. আব্দুল হক ও হেপি বেগমের মেয়ে খাদিজা বেগম হাবিবা (২১) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল তিনি পার্শ্ববর্তী শিওরখাল-কদমতলা গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে তার ভালোবাসার মানুষ লিটন আহমদের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ সুরমা উপজেলার) ২৪ নং ওয়ার্ডের কাজী অফিসে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তবে তার মা-বাবা এই বিয়ে মেনে নেননি। লিটন আহমদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকায় খাদিজা বার বার পরিবারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলেও তারা রাজি হননি। একপর্যায়ে তাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু সে বাধ্য হয়ে নিজের ইচ্ছায় লিটনকে বিয়ে করেছেন।
খাদিজা অভিযোগ করেন, তার মা বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ এনে বলেছেন যে তাকে অপহরণ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা আরও বলেন, শুধু মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেই আমার মা থামেননি, বরং আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে আসামি করে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। আমি সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছি যে, আমার লিটন আহমদের সঙ্গে আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
আমি আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই, তারা রাজি হননি এবং আমাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিতে চেয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে ২৮ এপ্রিল স্বেচ্ছায় লিটনকে বিয়ে করি। আদালত আমার মা-বাবাকে আপসের নির্দেশ দিয়েও তারা হয়রানি বন্ধ করেননি।
তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর আমাদের পরিবারের সঙ্গে সালিশি ব্যক্তিদেরকেও আমার মা হয়রানি করছেন। মিথ্যা মামলায় আমার স্বামী, তার পরিবার ও সালিশি ব্যক্তিদেরও আসামি করেছেন। আমাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি চালাচ্ছেন।
খাদিজা বেগম হাবিবা সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট ন্যায়বিচার ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী লিটন আহমদ এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :