সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগে এ সিদ্ধান্তে নির্বাচন ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তাপ থমকে গেছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে সদস্যপদ পুনরায় যাচাই-বাছাই করে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (স্মারক নম্বর: ২৬.০০.০০০০.০০০.১৫৬.৩২.০০০১.৯২.২৭১; তারিখ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫)।
যদিও স্থগিতাদেশের নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে চিঠিতে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের নির্দেশ স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে।
দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ‘চিঠিতে ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলা হয়েছে। মূলত তালিকায় কিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকজন সদস্য অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই কারণেই মন্ত্রণালয় নির্বাচন স্থগিত করে যাচাই শেষে পুনঃতফসিলের নির্দেশ দিয়েছে।’
চেম্বারের সচিব গোলাম আক্তার ফারুক নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কী কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে, তা আমরা এখনো পরিষ্কারভাবে জানতে পারিনি।’
এর আগে ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল—সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ, সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফালাহ উদ্দিন আলি আহমদ (সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ) এবং এহতেশামুল হক চৌধুরী (ব্যবসায়ি ফোরাম)। দুই প্যানেলে মোট ৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন।
ফালাহ উদ্দিন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অপরদিকে এহতেশামুল হক চেম্বারকে পুনরায় কার্যকর করে সিলেটকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সভাপতি তাহমিন আহমদ আত্মগোপনে যাওয়ায় চেম্বারের কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। এবারের নির্বাচন ঘিরে ব্যবসায়ী মহলে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে নির্বাচন আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল।


