ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

মধুপুরে দুই দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
দুই দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তা মেলা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

“উদ্যোক্তা হবে শক্তি, গড়বে অর্থনীতির ভিত্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের মধুপুরে দুই দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের জাত সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক “ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্প” অধীনে এই প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে মধুপুর রানী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় এবং সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এসএসএস)-এর বাস্তবায়নে মেলার উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জুবায়ের হোসেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এসএসএস)-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সন্তোষ চন্দ্র পাল।

এসএসএস-এর পরিবেশ কর্মকর্তা তুষার পালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- পিকেএসএফ-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্রদীপ কুমার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ. কে. ওবায়দুল হক, মধুপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবি এম খায়রুল ইসলাম, মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, এসএসএস-এর সহকারী পরিচালক (ঋণ) গাজী মো. এনামুল কবীর এবং সদস্য উৎপল পাল।

এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, কৃষি উদ্যোক্তা, চাষি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি ইউএনও মোঃ জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘কৃষির উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি। এই ধরনের মেলা কৃষক ও উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি কৃষিতে নতুন জাত, চাষাবাদের উন্নত কৌশল এবং বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকারের ও বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের চাষ সম্প্রসারণ এবং বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি কৃষকদের আয় বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে। উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

মেলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, কৃষিযন্ত্র, উচ্চমূল্যের ফল-ফসল, জৈব সার, উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং বিভিন্ন উদ্যোক্তার পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে।

মেলায় অংশ নেওয়া কৃষক ও উদ্যোক্তারা জানান, প্রদর্শনী তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এখানে তারা নতুন প্রযুক্তি, বীজ, চারা, বাজার ব্যবস্থাপনা ও সম্ভাবনাময় ফসল সম্পর্কে সরাসরি জানতে পারছেন। বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শনিবার (২২ নভেম্বর) মেলার সমাপ্তি হবে।