বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ মে) নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে হায়দার রহমানের তিন দিন ও সহিদুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সহিদুল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের দিঘুলিয়া উপজেলার হায়দার রহমান।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ১৭ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জানতে পারেন, ‘জয় খান’ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: ০১৭০৪-৫৫৩০৫৫) নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এবং শাকিল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি (পরিচয় ও ঠিকানা অজ্ঞাত) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করেছেন। এই আইডি ব্যবহার করে প্রতারক চক্র নিজেদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদা দাবি করছিলেন।
অভিযুক্তরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সাইবার স্পেসে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রূপ ধারণ করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তদবিরের কথা বলে অর্থ দাবি করছিলেন।
এ ব্যাপারে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই তাকে এই প্রতারণার বিষয়টি জানান। সেই ধারাবাহিকতায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সারোয়ার আলম খান বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীনের ছবি এবং নাম ব্যবহার একটি ভুয়া ফেসবুক ও হোয়াটসএ্যাপ আইডি খুলে বিভিন্ন এলাকার নেতাদের সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এ ছাড়াও দলীয় পদ কিংবা তদবিরের কথা বলে চাঁদা নেওয়ার পাঁয়তারা করছিল ওই চক্রটি। রিমান্ড শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :