শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় দিল শিক্ষার্থীরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সারোয়ারে খোদাকে রাজকীয়ভাবে বিদায় দিয়েছেন সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। চোখে জল নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে অবসরে যান এই শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের সুগার মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

এদিকে বিদায় অনুষ্ঠানে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে বিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি আশপাশের কয়েকটি সড়ক ঘুরে একইস্থানে ফিরে আসে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফুল ছিটিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি লাল গালিচায় সংবর্ধনা জানায়। পরে বিদ্যালয় মাঠে একে অপরের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষর্থীরা জানান, ১৯৯৭ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত সারোয়ারে খোদা স্যার নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জনে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি শুধু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নয়, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে অভিভাবক হিসেবে ছিলেন। সবার খোঁজ-খবর নিতেন নিয়মিত। স্যারের সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে যা ভাষায় বলা কঠিন। তিনি বিদায় নেওয়ায় বুকে চাপা কষ্ট অনুভুত হচ্ছে।

দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী শিক্ষক সারোয়ারে খোদা।

তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা করেছি। এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। এই ভালোবাসাকে পুঁজি করেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই আমার ছাত্ররা যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে পারে। সমাজের জন্য, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা যেন সর্বদা সজাগ থাকে। এতেই আমি শান্তি পাব।

প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। বর্তমানে ৬২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

Link copied!