চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ঠাকুরগাঁও জেলার দুটি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। সদর উপজেলার সেনুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। এ ফলাফল জেলাজুড়ে ব্যাপক হতাশা ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মোট ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার এই দুটি বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট ৬ জন শিক্ষার্থী।
তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়, যেখানে ৯ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ৪ জন।
অন্যদিকে সেনুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ জন শিক্ষক নিয়োজিত থেকেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী। তবে কেউই পাস করতে না পারায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হবিবর রহমান ও সেনুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
অবহেলা ছিল কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এমন ফলাফল অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। কোনো অবহেলা পাওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ৩৭৪টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ হাজার ৭৩৬ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ৫০২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৭০.৪৯ শতাংশ, যা দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৮ জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও সর্বোচ্চ ও প্রথম স্থানে রয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহল দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মোট ৩৭৪ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ হাজার ৭৩৬ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে ১২ হাজার ৫০২ জন এবং পাশের হার শতকরা ৭০.৪৯, যা দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮ টি জেলার মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে এগিয়ে রয়েছে।