টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার বৃত্ত যেন ভাঙছেই না। দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ বারবার 'বিশ্বাস রাখুন' মন্ত্র জপলেও মাঠের পারফরম্যান্সে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। উল্টো দলের ব্যাটিং থেকে শুরু করে সব বিভাগে দেখা যাচ্ছে পারফরম্যান্সহীনতা।
প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক বলেছিলেন, বিশ্বাস করতে হবে এবং স্মার্ট, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। হারের ভয় করা চলবে না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্বাসে'র গল্প শোনানো হলেও মাঠে তার বাস্তবায়ন কোথায়? আগ্রাসন কিংবা স্মার্ট ক্রিকেট – দুটোরই স্পষ্ট ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
স্পিন কোচ হিসেবে মুশতাক নিজের ভূমিকার কথা বললেও স্পিনারদের পারফরম্যান্সে উন্নতির কোনো সুস্পষ্ট আলামত নেই। রিশাদ হোসেন কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজ, দুজনেরই পারফরম্যান্স ওঠানামার মাঝে দুলছে।
ব্যাটিং নিয়ে মুশতাক নিজেই স্বীকার করেছেন, যারা ফর্মে আছে, ৩০-৪০ রান করে আউট হয়ে যাচ্ছে। এটিকে অনেকেই আত্মতুষ্টির আরেকটি রূপ হিসেবে দেখছেন।
শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, মেন্ডিস যেখানে একাই ম্যাচ বের করে আনেন, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন কেবল রান পেতে পেতেই আউট হওয়ার তাড়ায় থাকেন।
মুশতাকের মতে, ৩০-৪০ রান পেলে ৭০ রানের ওপরে যেতে হবে, তখনই পার্থক্য বোঝা যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ দলে এমন নির্ভরযোগ্য ইনিংস গড়ার ব্যাটার খুঁজে পাওয়া কঠিন।
শুধু ব্যাটিং নয়, গোটা দলীয় মানসিকতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। হার মেনে নেওয়া, আত্মবিশ্বাসের অভাব আর একঘেয়ে ক্রিকেট এই দলের বড় রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘বিশ্বাস রাখুন, ভরসা রাখুন’ – এমন কথা শুনতে শুনতে ভক্তরা এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে খেলার সম্প্রচারেও।
বাংলাদেশের খেলা দেখতে এখন আর দর্শকদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফর্মে গুরুত্ব না দিয়ে ভিন্ন উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।