বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে ভোগান্তি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে ভোগান্তি

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের শাখা বন্ধ থাকায় এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার চাহিদা বেশি। কিন্তু অনেক বুথেই টাকা মিলছে না। ঢাকার বাইরে এ সমস্যা বেশি। ঈদে বাড়ি গিয়ে টাকা উঠাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষকে।

এবার ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুলবে আগামী ৬ এপ্রিল। গত ২৮ মার্চ থেকে টানা ৯ দিন বন্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘ ছুটির কারণে এবার গ্রামে গেছেন অনেকেই। টাকা তুলতে ভোগান্তিও বেশি হয়েছে গ্রামে। অনেক বুথে টাকা নেই। কোনো কোনো ব্যাংকের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে বুথের সামনে ‘আউট অব সার্ভিস’ লেখা রয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ রেখেছে।

ব্যাংকাররা জানান, সাধারণভাবে ঈদকে কেন্দ্র করে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। টানা বন্ধের মধ্যে শাখা বন্ধ থাকায় বুথ থেকেই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা হয়। এ সময় শহর ছেড়ে গ্রামে যান প্রচুর মানুষ। সেই অনুপাতে এটিএম বুথ বা বুথে টাকা রাখার ব্যবস্থা থাকে না। কেননা প্রতিটি বুথের টাকা রাখার নির্দিষ্ট ধারণক্ষমতা থাকে। লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে সংকট দেখা দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে বর্তমানে টাকা তোলার জন্য বুথ রয়েছে ২০ হাজারের মতো। এর মধ্যে শুধু টাকা তোলার এটিএম বুথ ১২ হাজার ৯৩৮টি। যার মধ্যে শহরেই ৯ হাজার ৯১টি।

আর সিআরএম আছে ৭ হাজার ১২টি। এ রকম একই বুথে টাকা জমা ও উত্তোলন করা যায়। যে কারণে এ ধরনের বুথে টাকার সংকট কম হয়। এই সিআরএমও ৫ হাজার ৯টি শহরে আছে। গ্রামে আছে ২ হাজার ৩টি। গ্রামীণ বুথ বলতে ঢাকাসহ সব বিভাগীয়, জেলা ও পৌর এলাকার বাইরে স্থাপিত বুথকে বোঝানো হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে এটিএম ও সিআরএমে মোট ৩৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে এটিএম বুথের মাধ্যমে ২২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর সিআরএম থেকে ১৫ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।

চলতি বছরের মার্চের তথ্য পাওয়া যাবে আরও পরে। তবে গত বছরের ঈদের আগের মাস মার্চে এ দুই উপায়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু এটিএম বুথ থেকে ৩২ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা এবং সিআরএম থেকে ১৪ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকায় সব ব্যাংকের একাধিক এটিএম বুথ রয়েছে। একটি বুথে না পেলে অন্য বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেন মানুষ। ঢাকার বাইরে উপজেলায় পর্যায়ে সব ব্যাংক মিলিয়েই হয়তো বুথ রয়েছে দুই বা তিনটি। যে কারণে সেখানে সমস্যা হলে টাকা তোলার বিকল্প থাকে না। অবশ্য অ্যাকাউন্ট থেকে এমএফএস হিসাবে টাকা স্থানান্তর করে উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে। অনেকেই এতে অভ্যস্ত নন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!