মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে সরকার স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ কার্যক্রম চালু রেখেছে সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছে আরো ৫ লাখ পরিবার।
সোমবার (২ জুন) বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী ৫৭ লাখ পরিবারকে নিয়মিতভাবে মসুর ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রান্তিক ও নিম্নআয়ের জনগণের সহায়তায় বর্তমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ আগামী অর্থবছরে ছয় মাসে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে বর্তমানে কর্মসূচির আওতায় থাকা ৫০ লাখ পরিবারের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৫ লাখ পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কষাঘাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে খাদ্য ও পণ্যে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। এটি শুধু সামাজিক নিরাপত্তা নয়, অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা— যা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং এডিপি ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের দৃষ্টিতে সংকোচনমূলক বাজেট।
এর আগে সোমবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন শেষে তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর বাজেট ডকুমেন্টস নিয়ে রামপুরার বিটিভি ভবনে যান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে রেকর্ড করা হয় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনা। যা বিকাল ৩টায় সম্প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
আপনার মতামত লিখুন :