মাত্রাতিরিক্ত খাবার মূল্যের কারণে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিলো মধুর ক্যান্টিনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে ছিলো মধুর ক্যান্টিনের খাবার। এবার দাম কমেছে মধুর ক্যান্টিনের সকল খাবারের। পাশাপাশি বাদ দেওয়া হয়েছে কিছু অস্বাস্থ্যকর ও বেশিদামে বিক্রি করা খাবার।
সরেজমিনে দেখা যায় মধুর ক্যান্টিনে খাবারের একটি মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে রঙ চা ৬ টাকা, দুধ চা ৭ টাকা, সন্দেশ ১৫ টাকা, পাটি সাপটা ২০ টাকা, সিঙ্গারা ছোট, মাঝারি এবং বড় যথাক্রমে ৫, ৮ ও ১০ টাকা, পুডিং ৩০ টাকা, দই ২০ টাকা, মাখন রুটি ২৫ টাকা, কেক ১০ টাকা।
অন্যদিকে পুর্বের খাবারের তালিকা অনুযায়ী দাম ছিলো সিংগারা ১০ টাকা, সবজি রোল ১৫ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, স্যান্ডউইচ ৬৫ টাকা, শর্মা ৮৫ টাকা, পুডিং ৩৫ টাকা, পাটিসাপটা ২৫ টাকা, মাখন রুটি ৪০ টাকা, রং চা ১০ টাকা, ছানা ছোট ২ টুকরা ৩৫ টাকা, ছোট ৫ পিচ মিষ্টি ৫০ টাকা প্লেট এবং কেক ১৫ টাকা দাম রাখা হয়।
পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অতিরিক্ত দাম রাখা শর্মা, সমুচা, ছোট মিষ্টি এগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে খাবার তালিকা থেকে। অন্যদিকে মাখন রুটি, সিংগারা, কেক, পাটি সাপটা, পুডিংসহ কয়েকটি খাবারের দাম কমেছে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ছাত্রলীগের সহায়তায় এতদিন খাবারের মূল্য বাড়িয়ে রেখেছিলেন মধুর ক্যান্টিনের বর্তমান পরিচালক অরুণ কুমার দে।
এতদিন দাম কমেনি এখন কেন কমলো জানতে চাইলে পরিচালক অরুন কুমার দে বলেন, এতদিন দ্রব্যাদির চড়া দাম ছিল। এখনো আছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই দাম কমিয়েছি।
শিক্ষার্থী রাজা তালুকদার বলেন, খাবারের মান ভালো ছিল না তবুও দাম ছিল চড়া । আগে চা খুব বাজে ছিলো এখন তারা দাম কমিয়েছে পাশাপাশি টি প্যাক ব্যবহার করছে। সব মিলিয়ে আগের থেকে এখন ভালো করেছে সবকিছু।
কর্মচারী মাইকেল বলেন, আমরা এখানে কোনো কিছুর সাথে জড়িত নই। দাম কমানো বাড়ানো মালিকের সিদ্ধান্ত। মালিক যেভাবে বলে আমরা সেভাবেই কাজ করি। তবে আমরাও চাইতাম সবাই কম দামে খাবার পাক।
আপনার মতামত লিখুন :