বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনী গবেষণার স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সহকারী অধ্যাপক ড. আব্বাস উদদীন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ‘গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’-এ তিনি বিশ্বের সেরা ১০ উদ্ভাবকের একজন নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওল্ড বেল-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার আইডিয়া ‘ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব’-এর জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব হলো একটি বিশেষ গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র, যা পরিবেশবান্ধব ডাইং, ফিনিশিং এবং উপকরণ প্রক্রিয়াকরণে কাজ করছে। ল্যাবটি কম কার্বন নির্গমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরোনো পদ্ধতিগুলোকে পরিবর্তন করতে এবং টেকসই উৎপাদন পদ্ধতিগুলোকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ল্যাবটি একটি নিবেদিত গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে।
ভবিষ্যতের ফ্যাশন শিল্প গঠনের নেতৃত্বে ড. আব্বাস উদদীন শায়ক বলেন, এই অর্জন শুধু আমার ব্যক্তিগত নয় বরং বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও শিক্ষাক্ষেত্রের একটি সম্মান। আমরা টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিল্পকে নতুনভাবে সাজাতে চাই।
ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নোবেল পুরস্কারখ্যাত গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড হলো এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশন কর্তৃক চালু করা একটি বার্ষিক পুরস্কার। ২০১৫ সাল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ফ্যাশন ও টেক্সটাইল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী সমাধানের উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এর মূল উদ্দেশ্য।
সূত্রমতে, এবারের প্রতিযোগিতায় ৬৯টি দেশ থেকে মোট ৪৭৬টি আইডিয়া অংশগ্রহণ করে। গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর এক্সপার্ট প্যানেল এসব আইডিয়া পর্যালোচনা করে, প্রতিটি ফাইনালিস্ট যাচাই-বাছাই করে শীর্ষ ১০ জন বিজয়ী নির্ধারণে পরামর্শ প্রদান করেন। গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর বিজয়ীরা প্রত্যেকে পাবেন ২ লাখ ইউরো অনুদান।
উল্লেখ্য, তিনি পুরস্কারের অংশ হিসেবে বছরব্যাপী তিনটি ‘ফিজিক্যাল উইক’–এ অংশগ্রহণ করবেন। যার মাধ্যমে তার উদ্ভাবনী ধারণাকে আরও বিস্তৃত করে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রভাব তৈরি করার সুযোগ পাবেন।
তিনটি ফিজিক্যাল উইক বছরের বিভিন্ন সময়ে আয়োজিত হবে। বর্তমানে তিনি প্রথম ফিজিক্যাল উইকে অংশগ্রহণ করছেন। দ্বিতীয় ফিজিক্যাল উইক চলতি বছরের অক্টোবরে এবং তৃতীয় ফিজিক্যাল উইক ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে।