ঈদুল আজহার কোরবানির দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায় রয়ে গেছে পশু কোরবানির বর্জ্যের স্তূপ। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শনিবার দিবাগত রাতেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি করা হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
রোববার (৮ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর নতুন বাজার, মিরপুর-১৪ নম্বর, আগারগাঁও, পীরেরবাগ, মধ্যমণিপুর, পশ্চিম আগারগাঁওসহ উত্তর সিটির বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিতে কোরবানির বর্জ্য পড়ে রয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে নাক চেপে পথ চলছেন স্থানীয়রা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির কলাবাগান, ধানমন্ডি ৮ নম্বর, শিশুপার্ক-সংলগ্ন সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে এখনো বর্জ্যের স্তূপ দেখা গেছে। কোথাও কোথাও এসব বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টা ৪১ মিনিটে দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান গণমাধ্যমে জানান, তাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি হয়েছে এবং রাত সাড়ে ৯টার মধ্যেই ১২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
একই রাতে ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাড়ে ৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছেন এবং ঈদের দিনেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে বাস্তবে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হলেও তা অপসারণে সিটি করপোরেশনের গাড়ি আসেনি। ফলে রোববার সকালেও সেই বর্জ্য পড়ে রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির শিশুপার্ক-সংলগ্ন এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে বর্জ্য অপসারণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানান, শনিবার রাতেই বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। তবে গাড়ি না আসায় তা সরানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছরই ঈদের সময় এমন দৃশ্য দেখা যায়। বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনের দাবি আর বাস্তবতার মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকেই যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :