রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক মর্মান্তিক পরিণতিতে শেষ হলো একটি পুরো পরিবারের জীবন।
শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় দগ্ধ সাড়ে ৩ বছরের শিশু রাফিয়া। তার শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার বাবা মো. রিপন (৭০% দগ্ধ) ও মা ইতি বেগম (৪৫% দগ্ধ)। এই ঘটনায় একই পরিবারের তিন সদস্যেরই মৃত্যু হলো মাত্র দুদিনের ব্যবধানে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কের একটি বাসার নিচতলায় গ্যাস লিক হয়ে ঘরে জমে ছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তেই আগুনে ঝলসে যায় ঘরের তিনজন।
বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। কিন্তু দগ্ধতার মাত্রা এত বেশি ছিল যে, শেষ পর্যন্ত একে একে সবাই মৃত্যুর কাছে হার মানেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শিশুটি আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৯০ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল, অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।’