ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

শহর সবুজায়নের কাজে সব রকম সহযোগিতা করবে ডিএনসিসি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
বনানীতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ ও ‘তারুণ্যের উৎসব- ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা শহরের যেকোনো স্থানে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সবুজায়নের উদ্যোগ নিলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ ও ‘তারুণ্যের উৎসব- ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক বলেন, ঢাকাকে জলবায়ু সহনশীল শহরে পরিণত করতে ইতোমধ্যে মাঠ, পার্ক ও জলাভূমি সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। হাজিপাড়ায় প্রায় ৫ একর মাঠ ও জলাভূমি রক্ষায় কার্যক্রম চলছে এবং ড্যাপের মানচিত্র অনুযায়ী জলকেন্দ্রিক পার্ক ও মাঠ রক্ষায় সচেতনতামূলক বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ছাদ বাগান সম্প্রসারণে ছাদ বাগান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি বুকলেট প্রকাশ করেছি এবং নগরবাসীকে এ বিষয়ে আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিচ্ছি। আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির সহায়তায় বনানী ২০/কে নম্বর রোডের লেকপাড়ের ৫৫ কদমতলা আড্ডা পার্কে আয়োজিত এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে গ্রিন সেভারস, বনানী সোসাইটি, কদমতলা সংগঠন ও অন্যান্য পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসক আরও জানান, ঢাকার পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, বায়ুদূষণ হ্রাস ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে চলতি বর্ষায় ৫ লাখ গাছ রোপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বনানী লেকপাড়ের এই কার্যক্রম সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

কর্মসূচিতে ৫০০টি দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়- এর মধ্যে হিজল ৫৫টি, লেবু ৪৫টি, রজনীগন্ধা ৩০টি, বেলী ৩০টি, গন্ধরাজ ৩৫টি, জবা ৪০টি, আমলকী ৪৫টি, বেল ১০টি, জুঁই ৩০টি, বহেরা ৪০টি, হরতকি ৫টি, চম্পা ৫টি, আগার ৫টি, গোলাপ জাম ৫০টি, আঁশফল ৩৫টি এবং আলু বোখারা ৪০টি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইডিএলসির গ্রুপ চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার মাসুদ করিম মজুমদার, সিএসআর লিড ফারহানা শারমিন, বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া দিলন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মোল্লা, গ্রিন সেভারসের প্রধান নির্বাহী আহসান রনি, ফটোগ্রাফার মাহমুদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

এই সবুজায়ন কার্যক্রম জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।