রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ও সকালে পৃথক ঘটনায় এ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন- কদমতলির মোহাম্মদ ফয়সাল (২৮) ও চকবাজারের উম্মে কায়েস রিংকি (৩১)।
কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রনি চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে কদমতলির মোহাম্মদ বাগের এলাকার একটি বাসার নবম তলার ফ্ল্যাটের টয়লেট থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মোহাম্মদ ফয়সাল (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা করি।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে নিহতের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ফয়সাল তার খালুর বাসায় থাকত এবং গুলিস্তানে খালুর খেলার সামগ্রী বিক্রির দোকানে কাজ করত।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ফয়সাল বেশকিছু লোকের কাছে টাকা পেত। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত সে হতাশায় ভুগছিল। আমরা ধারণা করছি, হতাশার কারণেই হয়তো সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
অপর ঘটনায় রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকার একটি বাসার চতুর্থ তলার বেডরুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় জর্জেটের শাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় উম্মে কায়েস রিংকি (৩১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রিংকি চকবাজারের পোস্তা এলাকায় স্বামী সাইদুর রহমানের সাথে ভাড়া থাকতেন।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরের দিকে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতের স্বজনদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন