হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় ভাস্কররা। উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
উপজেলার বুল্লা, হরিশ্যামা ও কাটিয়ারা এলাকার প্রতিমা শিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর প্রতিমা তৈরির উপকরণ- এটেল মাটি, বাঁশ, সুতা, লোহা, ও তারের দাম বেড়ে গেছে বহুগুণ। ফলে আগের তুলনায় প্রতিমা তৈরির খরচও অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও প্রতিযোগিতামূলকভাবে চলছে নানান আকৃতির ও শৈল্পিক প্রতিমা তৈরির কাজ।
কাটিয়ারা গ্রামের প্রতিমা শিল্পী রিপন পাল (৪০) জানান, প্রায় দুই মাস ধরে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এ বছর তিনি ২০টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন। উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিমার মজুরি কিছুটা বাড়াতে হয়েছে। এবার তার প্রতিমার মজুরি রাখা হচ্ছে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। বেশিরভাগ প্রতিমার গঠনকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে, এখন রঙ-তুলির কাজ চলছে।
মাধবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক হীরেশ ভট্টাচার্য হিরো জানান, এ বছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১১৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার বোধন ও ষষ্ঠী কল্পালম্ভের মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হবে, যা ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আয়োজক কমিটিগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, এবং পুলিশ টহল টিম সক্রিয় থাকবে।’
মাধবপুর থানার ওসি সহিদুল্যা বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন