রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের আত্মহত্যা

রাজধানীর মুগদা ধার্মিক পাড়া এলাকার একটি বাসা ও হাজারীবাগ ঝাউচার মডেল টাউন এলাকার একটি বাসায় পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, মোহাম্মদ শিমুল (১৮) ও মোহাম্মদ শামীম হাসান জীবন (৩৪)।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মুগদা থানার এসআই মো. শাহাদাৎ হাসান জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে গতরাত ৯টার দিকে মুগদার মান্দা ধার্মিক পাড়া এলাকার একটি টিনশেড বাসা থেকে শিমুল নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘আমরা স্বজনের মুখে জানতে পারি, নিহত শিমুল অটোরিকশাচালক ছিল তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার তিন্নির অন্য একজনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠাই। তবুও ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট সদর জেলার গুরাতিপাড়া এলাকায়। তানা মো. ফজলুর রহমানের সন্তান।’

অপরদিকে, হাজারীবাগের ঝাউচর মডেল টাউন এলাকায় শামীম হাসান জীবন নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

হাজারীবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে ৮১ ঝাউচর মডেল টাউন একটি বাসার নিচতলা থেকে শামীম নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘পরিবারের লোকের মুখে জানতে পারি, গতকাল দুপুরের দিকে খাবার খেয়ে নিজ রুমে যায় এবং দরজা লাগিয়ে দেয় শামীম। বেশ কিছুক্ষণ পর তার মা দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে দরজায় ধাক্কা দিলে সেটা খুলে যায়। পরে ভেতরে গিয়ে দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। দ্রুত স্বজনরা শামীমকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে ওখানেই তার মৃত্যু হয়। কী কারণে শামীম আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারে না।’ তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

নিহত শামীমের বাসা ৮১ নম্বর ঝাউচর মডেল টাউন। তিনি হাজারীবাগের শাহজাহান রোডের মো. বাবুল মিয়ার সন্তান। নিহত পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।