দেশে ট্রাভেল ও ট্যুরিজম খাতের উন্নয়ন ও উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে ‘আটাব’ সাধারণ সদস্যবৃন্দ আজ একটি মানববন্ধন ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত করেছেন। সভায় তারা সম্প্রতি প্রণীত ‘ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ খসড়া আইন ২০২৫’–এর কয়েকটি ধারা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, খসড়া আইনের ধারা বিশেষ করে অফলাইন ট্রাভেল এজেন্সির জন্য ১০ লাখ টাকা জামানত, এক এজেন্সির সঙ্গে অন্য এজেন্সির টিকেট লেনদেন নিষিদ্ধ করা, এবং জেল-জরিমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের ট্রাভেল ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।
তাদের দাবি, এই ধারা বাস্তবায়িত হলে ছোট ও মাঝারি ট্রাভেল এজেন্সির কার্যক্রম সীমিত হবে এবং লাখো মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
আটাবের পক্ষ থেকে প্রধান দাবিগুলো ছিল:
১. অফলাইন ট্রাভেল এজেন্সির জন্য ১০ লাখ টাকা জামানতের ধারা বাতিল করা, কারণ ছোট ও মাঝারি এজেন্সিগুলো এই পরিমাণ জামানত রাখতে সক্ষম নয়।
২. এক এজেন্সির সঙ্গে অন্য এজেন্সির টিকেট লেনদেন নিষিদ্ধের ধারা বাতিল করা, যাত্রীগন কাঙ্খিত সেবা পাবেননা, যার ফলে যাত্রি হয়রানি ও বিড়ম্ভনা বাড়বে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, যাতে করে দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে।
৩. জেল ও জরিমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করে পূর্বের বিধান বহাল রাখতে হবে, যাতে অপ্রয়োজনে হয়রানি ও প্রশাসনিক চাপ না বাড়ে। নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি ভোগ না করে তা নিশ্চিত করা।
৪. অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টদের অনিয়ম ও অপরাধে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার বিধান করা যায় কিন্তু সেই আইনের কারনে কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন বিপদে না পড়ে তা দেখার দায়িত্ব সরকারের।
বক্তারা আরও বলেন, অতীতে ট্রাভেল ট্রেডের ওপর যে কোনো নেতিবাচক উদ্যোগ আটাব দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করেছে। কিন্তু বর্তমানে, সরকারী নীতিতে সংলাপ ও যৌথ সমঝোতার সুযোগ সীমিত হওয়ায় শিল্পের স্বার্থে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, খসড়া আইনের বিতর্কিত ধারা সংশোধন করে একটি বাস্তবসম্মত ও অংশগ্রহণমূলক আইন প্রণয়ন করা হোক, যা দেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান রক্ষায় সহায়ক হবে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন