১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

সার সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করা ও মজুদ সুবিধা জোরদার করার লক্ষ্যে সরকার ১ লাখ ৫ হাজার (১.০৫ লাখ) মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি সার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পসহ একাধিক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারের ক্রয় কমিটির ৪২তম সভায় এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিদ্যমান চুক্তির সপ্তম ধাপে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রাতের আঁধারে পাচারের সময় ১৮ বস্তা সারসহ ভ্যান আটক

বিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এই আমদানি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। এ চালানের মোট ব্যয় ৩৬০.০২ কোটি টাকা, যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।

এ ছাড়া, রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (প্রোডিনটর্গ) থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির পঞ্চম ধাপে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চালানের মোট মূল্য ১৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী সৌদি আরবের স্যাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের পঞ্চম ধাপে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির মোট মূল্য ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার নির্ধারিত হয়েছে।

এ ছাড়া, কমিটি ‘বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় আরও একটি নির্মাণ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম (প্যাকেজ-৪, লট-৫) নির্মাণ করবে এম/এস এমবিএল-আরইএল (জেভি), ঢাকা, যার মোট ব্যয় ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

কমিটি সারা দেশে সার সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখা, সংরক্ষণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদন টেকসই করার লক্ষ্যে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে।