বাংলাদেশে রপ্তানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজের অন্যতম বৃহত্তম ক্রেতা বাংলাদেশ; তবে রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ও নিকটবর্তী রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
দুমাস আগেও প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক পেঁয়াজ মালদহের মাহদিপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে আসতো। সেই প্রত্যাশায় মাহদিপুরের ব্যবসায়ীরা ২০ হাজার মেট্রিক টন এবং হিলির ব্যবসায়ীরা ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন।
কিন্তু রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি কমাতে পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
মাহদিপুরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোহম্মদ রুবেল হোসেন জানান, বাংলাদেশে রপ্তানির বরাত পাওয়ার পর আমরা নাসিক থেকে পেঁয়াজ এনে বন্দরে পৌঁছাই। কিন্তু তখনই জানানো হয়, রপ্তানি বন্ধ। পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি ছাড়া উপায় নেই।
অন্যদিকে ঘোজাডাঙ্গা ও পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত না করায় তুলনামূলকভাবে ক্ষতি থেকে রেহাই পেয়েছেন। পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে এই দুই বন্দরে পেঁয়াজভর্তি কোনো ট্রাক আটকে নেই।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ভালোমানের পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ রুপি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কলকাতার পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গোডাউনে থাকা পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরও কমে যেতে পারে।
