দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার। প্রতিদিন ৫০টি করে আমদানি অনুমতি (আইপি) ইস্যু করা হবে, এবং প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানির জন্য আবেদন করেছিলেন, কেবল তারাই পুনরায় আবেদন দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। পেঁয়াজের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
মাস খানেক আগে হঠাৎই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় পৌঁছায়। সরকার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দাম কিছুটা কমে ১০৫-১১০ টাকায় নেমে আসে।
গত সপ্তাহে সরকার জানিয়েছিল, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে এবং নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসবে। কৃষকের স্বার্থে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এই সুযোগে মজুতদাররা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে, ফলে পুনরায় দাম বাড়তে থাকে।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এখনও পেঁয়াজের দাম ১০ শতাংশ কম। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ এখনও বাজারে না এলেও পাতাযুক্ত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ‘আমদানি বন্ধ থাকবে’ এমন ধারণায় পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই দাম বাড়ে। মজুতদার ও কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ার প্রভাব বাজারে পড়ছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত ৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চার–পাঁচ দিনের মধ্যে দাম না কমলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাজারে আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। দেশে প্রচুর মজুত আছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। তারপরও যদি দাম না কমে, তাহলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন