ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদালয়ে (জাককানইবি) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ ১৩০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদালয়ের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় চলছে।
রোববার (৪ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
সোমবার (৫ মে) বিকেল ৪টায় ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল (দ্রুত বিচার) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আজমত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী বাদী বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়েরের পর ওই দিন সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক মোছা. নাসিমা খাতুন বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআই পুলিশকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জাকিবুল হাসান রনি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আহসান লিমন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ ও নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, তরিকুল ইসলাম রানা, প্রকৌশল শাখার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) জোবায়ের হোসেন, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ. হালিম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ হুমায়ন কবীর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সহকারি রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম খলিল শান্ত, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেকশন অফিসার আপেল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার নুসরাত জাহান শিমু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোসাররাত শবনম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সেলিম আল মামুন, ড. উজ্জল কুমার, ড. মো. নজরুল ইসলামসহ অনেকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত জুলাই-আগস্টের কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে গত বছরের ৩ আগস্ট ‘হাসিনায় আস্থা’ শীর্ষক ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
ওই সমাবেশে তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দেন। এর পরদিন গত বছরের ৪ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে আন্দোলনকারীদের ওপর আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে সশস্ত্র হামলা চালানো হয় এবং গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ।
এতে কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় আসামিরা বেশকিছু মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ভুক্তভোগী এ মামলা দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :