জুলাই মাসে ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিতে পারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এবারের শিক্ষক নিয়োগে থাকবে না পোষ্য ও নারী কোটা। শুধু ৭ শতাংশ কোটা থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার থাকবে। এমনকি ক্লাস্টারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেডের। ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য ১ শতাংশ কোটা।
অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৮ হাজার ৪৩টি শূন্য পদ রয়েছে। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এছাড়া ৩০ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এবার বেশিসংখ্যক প্রার্থী নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :