দীর্ঘ ২৯ দিনের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর গত মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান।
অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণের পর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান, মর্যাদা ও র্যাঙ্কিং আরও এগিয়ে নিতে আমি আমার সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকব। যেহেতু আমি বাইরে থেকে এসেছি, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো জানা জরুরি। প্রতিটি বিভাগের সিআর ও এসিআরসহ শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, আমি সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ আমার সঙ্গে যেকোনো ব্যাপারে দেখা করার সুযোগ পাবে।
পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের তালা খোলেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বন্ধ করে দেওয়া দপ্তরের তালার চাবি উপাচার্যের হাতে তুলে দেন।
এদিকে, নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমের যোগদানের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।