দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন শিক্ষকরা। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। শিগগিরই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা বিটের সাংবাদিক সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব)-এর নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময় তিনি এই তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তের বিষয়টি আপনারা সবাই জানেন। আমি এখানে (সচিব হিসেবে) আসার পর থেকে তাদের এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আশা করি, এমপিওভুক্তির আদেশ শিগগির হয়ে যাবে।’
কবিরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ায় থাকায় স্বাক্ষর কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে, তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে আদেশ আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহের মধ্যে জারি হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে এবং ধাপে ধাপে জাতীয়করণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি মাদ্রাসায় ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। প্রধান শিক্ষক পাবেন ১০ম গ্রেড, সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে, ক্বারী বা নূরানী সহকারী শিক্ষকরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন এবং অফিস সহায়করা ২০তম গ্রেডে। শিক্ষক নিয়োগ হবে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে, আর প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক নিয়োগ দেবে ম্যানেজিং কমিটি।
ড. কবিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি মাদ্রাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার সংশোধিত খসড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে ২০০৬ সালের আগে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিন্তু বৈষম্যের কারণে এমপিও না পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২২ সালের পর নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।