বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তারা লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণাও দিয়েছেন। একইসঙ্গে ‘শাহবাগ ব্লকেডের’ মতো কর্মসূচিও দিয়ে রেখেছেন তারা।
শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মূল বেতনের ওপর ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ। এই দাবিগুলোর বাস্তবায়নে সরকার এখনো প্রজ্ঞাপন জারি না করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষকরা।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকেই শিক্ষক নেতারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি না মানা হলে তারা শাহবাগে অবস্থান নেবেন।
শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি উপলক্ষে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগানও দিতে দেখা গেছে তাদের।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। সরকার তাদের দাবিগুলো আমলে নিচ্ছে না বলেই তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তারা বলেন, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন না হয় তাহলে শাহবাগ অবরোধ করা হবে। দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয় অভিমুখে করা লং মার্চ শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে হাইকোর্টের সামনে শিক্ষকরা বসে পড়েন। এ সময় প্রেসক্লাব ও আশপাশের সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারী মানুষ। পরে রাত ৮টার দিকে শহীদ মিনারে ফিরে আসেন তারা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন