সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৮:১১ পিএম

সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৮:১১ পিএম

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে ১৫টি গাড়িতে আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে ১৫টি গাড়িতে আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

রাতভর সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার থেকে আশুলিয়ার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মীর আকতার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়াও চারটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে।

রোববার সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির জেরে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ চলে ৭ ঘণ্টা ধরে। রাতভর এই সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। সোমবার সকালে সংঘর্ষ থামলেও থমথমে অবস্থা ছিল সাভারের আশুলিয়ার সিটি ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সংঘর্ষে আহত অনেক শিক্ষার্থী আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হেফাজত’ থেকে ছাড়া পেলেন ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হেফাজত’ থেকে ছাড়া পেলেন ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থী

সকালে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কাচের টুকরা ও ভাঙা আসবাবপত্র। পুরো অচলাবস্থা ভবনজুড়ে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৫টি গাড়িতে।

সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আতঙ্কে হল ছাড়তে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীকে। এ অবস্থায় সকালে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্ষমা প্রদর্শনের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন তারা।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য দায়ীদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাই। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অবশ্যই ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।’

পরে সংবাদ সম্মেলনে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান জানান, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

এদিকে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু জায়েদ দাবি করেন, ‘ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত না হলে এমন নৃশংসতা চালানো সম্ভব হতো না।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!