আসন্ন জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্তভাবে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রসচিবদের জন্য ২৪টি বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
রোববার (২ নভেম্বর) বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এবার প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা থাকবে, প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন করে কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রতিটি পরীক্ষার্থীর আসন অন্তত তিন ফুট দূরত্বে রাখতে হবে।
নিচে নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হলো:
১. জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এর সকল পরীক্ষার্থী ৮ম শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ করে নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের সময় তিন ঘণ্টা এবং অন্য দুই বিষয়ের জন্য দেড় ঘণ্টা নির্ধারিত থাকবে। পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হবে।
২. পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে ট্রেজারি বা থানা লকারে সংরক্ষিত প্রশ্নপত্রের প্যাকেট যাচাই করতে হবে। এ সময় ট্রেজারি অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কেন্দ্রসচিব ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে।
৩. প্রশ্নপত্রের দুই সেট আলাদা করে ‘সিকিউরিটি খামে’ প্যাকেট করতে হবে এবং সেট অনুযায়ী আলাদা চিহ্ন দিতে হবে।
৪. কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাব-সেন্টার করা যাবে।
৫. প্রশ্নপত্র যাচাইয়ের সময় তারিখভিত্তিকভাবে প্যাকেট সাজিয়ে, খামে তারিখ, বিষয় কোড ও সেট কোড লিখতে হবে। এতে কোনো ত্রুটি থাকলে কেন্দ্রসচিব দায়ী থাকবেন।
৬. ট্রেজারি অফিসার থেকে পরীক্ষার দিনে ওই দিনের প্রশ্নপত্রের দুই সেট ‘সিকিউরিটি খাম’ সংগ্রহ করতে হবে।
৭. প্রশ্নপত্র পরিবহনকালে পুলিশ প্রহরা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. বোর্ড থেকে প্রেরিত এসএমএস অনুযায়ী নির্ধারিত সেটের প্রশ্নপত্র ব্যবহার করতে হবে এবং এসএমএস পাওয়ার পরই খাম খোলা যাবে।
৯. অব্যবহৃত প্রশ্নপত্র অক্ষত অবস্থায় উপজেলা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছবি তোলা যায় না এমন ফোন শুধুমাত্র কেন্দ্রসচিব ব্যবহার করতে পারবেন।
১০. প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রতিটি কক্ষে কমপক্ষে দুইজন পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করবেন।
১১. পরীক্ষার্থীর আসন কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্বে রাখতে হবে।
১২. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করাতে হবে। পরে কেউ এলে কেন্দ্রসচিব রেজিস্ট্রার খাতায় তথ্য লিখে বিশেষ অনুমতিতে প্রবেশ করাতে পারবেন। পরীক্ষা শেষে সেই খাতাটি বোর্ডে জমা দিতে হবে।
১৩. পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খলা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ডমাইক বা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে।
১৪. কেন্দ্রসচিব নিজে বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়প্রধানের কাছে দ্রুত সরবরাহ করবেন।
১৫. প্রবেশপত্রে কোনো ত্রুটি থাকলে তা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সংশোধন করতে হবে।
১৬. ত্রুটিপূর্ণ উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীর হাতে দেওয়া যাবে না।
১৭. হাজিরা শিটে পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিতে হবে এবং অনুপস্থিতদের নামের পাশে লাল কালি দিয়ে ‘অনুপস্থিত’ লিখতে হবে।
১৮. নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে এবং উত্তরপত্র সিলগালা করে উপজেলা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।
১৯. প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পরিবহনকাজে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে হবে।
২০. প্রতিটি বিষয়ের ৫০টি করে উত্তরপত্র একত্রে করোগেটেড শিটে প্যাকেট করতে হবে।
২১. উত্তরপত্রের প্যাকেটে কোনো অতিরিক্ত চিহ্ন বা লেখা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে কেন্দ্রসচিব দায়িত্বশীল থাকবেন।
২২. প্রতিটি বিষয়ের উত্তরপত্র আলাদা প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে। ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পৃথক হবে।
২৩. পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস বন্ধ রাখতে হবে এবং অনলাইন তথ্যপ্রদানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
২৪. বোর্ডের অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ছাড়া অন্য কোনো ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।






সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন