শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কামরুল হাসান কাব্য, বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:০৬ এএম

সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ২০৪, নতুন অনুমোদন মাত্র ৬

কামরুল হাসান কাব্য, বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:০৬ এএম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি:  রূপালী বাংলাদেশ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পরও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক কম থাকার কারণে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে নতুন করে ১৮২টি শিক্ষক পদের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অনুমোদন পেয়েছে মাত্র ৬টি পদ।

অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূগোল ও পরিবেশ এবং গণিত বিভাগে একজন করে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসি।

বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ শিক্ষক সংকটে রয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২০৪ জন। অর্থাৎ প্রতি ৩৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক রয়েছেন। অথচ ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী একজন শিক্ষকের বিপরীতে ছাত্রসংখ্যা হওয়া উচিত ২০ জন।

এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষককে গড়ে ৮ থেকে ১০টি কোর্স নিতে হচ্ছে। নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষার চাপে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না শিক্ষকরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২২টি বিভাগে বর্তমানে ২০৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে আছেন ২৮ জন।

এছাড়া হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ৩ জন এবং যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত আছেন ১ জন। ফলে কার্যত ১৭২ জন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে।

শিক্ষক সংকটের কারণে বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং সেমিস্টার ভিত্তিক কোর্স সংখ্যা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় হিমশিম খাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, “কম পদ অনুমোদন পাওয়া আমাদের জন্য দুঃখজনক। জানতে চাইলে ইউজিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অনুমোদন পেয়েছি। অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও তেমন পদ পায়নি। আমি আশা করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বিবেচনায় নেওয়া হবে।”

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!