সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রোববার (১৬ নভেম্বর) অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেলের স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। নতুন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলো কোনো ধরনের ম্যানুয়াল ভর্তি ফরম বিতরণ করবে না। আবেদন শুধুই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হবে।
আবেদনের সময়সীমা
- শুরু: শুক্রবার, ২১ নভেম্বর সকাল ১১টা
- শেষ: শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা
উল্লিখিত সময়ের বাইরে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদন ফি ও পরিশোধ পদ্ধতি
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ফি শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অন্য কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে ফি জমা দেওয়া যাবে না।
বিদ্যালয় নির্বাচন ও পছন্দক্রম
সারা দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করার সময় নিজেদের থানা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেখতে পাবে।
- প্রতিটি আবেদনকারী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবে।
- একই বিদ্যালয় বা একই শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
- ডাবল শিফট বিদ্যালয়ের উভয় শিফট বেছে নিলে তা দুটি আলাদা পছন্দ হিসেবে গণ্য হবে।
- ভর্তি পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ডিজিটাল দৈবচয়ন (লটারি) পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে।
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে এই কেন্দ্রীয় লটারিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই পরীক্ষার আয়োজন বা মৌখিক/লিখিত মূল্যায়ন নেওয়া যাবে না এ নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
ভর্তির বয়সসীমা (১ম শ্রেণি)
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী—
- ১ম শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ৮ বছর ধরা ভিত্তিতে।
- তবে শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে ন্যূনতম বয়স ৫ বছর, এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ বয়স ৭ বছর হতে হবে।
- বয়স যাচাইয়ের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
- বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (Special Needs) শিক্ষার্থীদের জন্য বয়সসীমায় সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হবে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বিশেষ আসন
- সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভর্তিযোগ্য সন্তানদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
- এ ক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন হবে না; সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় থেকেই আসন বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।
- যদি কোনো শিক্ষক/কর্মচারী বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকেন এবং তার ভর্তিযোগ্য সন্তান মেয়ে হয়, তাহলে নিকটবর্তী সরকারি বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
- একইভাবে, বালিকা বিদ্যালয়ের কর্মরতদের বালক সন্তানদের জন্য নিকটতম বালক বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন রাখতে হবে।
- সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরতদের ক্ষেত্রে তাদের সন্তানের জন্য সেই বিদ্যালয়েই অতিরিক্ত আসন বরাদ্দ হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শ্রেণি না থাকলে নিকটতম উপযোগী বিদ্যালয় থেকে আসন বরাদ্দ করতে হবে।
- বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন সিস্টেম ও লটারি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।




সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন