বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ১২:৩৭ এএম

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয় সংস্কার চায় ছাত্রসংগঠনগুলো

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ১২:৩৭ এএম

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয় সংস্কার চায় ছাত্রসংগঠনগুলো

ছবি: সংগৃহীত

ঢাবির ছাত্ররাজনীতি, ডাকসু ও সাম্প্রতিক বিষয়ে ঢাবির অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করেছে ঢাবি প্রশাসন। আলোচনায় ছাত্ররাজনীতির সংস্কার করে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা। তবে আলোচনায় জাসদ ও ছাত্রলীগকে আমন্ত্রন জানানো হলেও তাদের কোন নেতা উপস্থিত হয়নি।


শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের লাউঞ্জে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় উপস্তিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।

 

আলোচনা শেষে, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ কর্তৃক রাজনীতির নামে হল দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে বলে জানান ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন। তিনি বলেন, আলোচনায় আমাদের দাবি ছিলো ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে ছাত্ররাজনীতির একটি যৌক্তিক সংস্কার করে শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি ক্যাম্পাসে চালু রাখা। এক্ষেত্রে একটি কমিশন গঠন করে ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কারের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি।


ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে অফিসিয়াল কোনো বিজ্ঞপ্তি আসেনি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো এবং মিডিয়ার ভুল উপস্থাপনা।


আলোচনা শেষে ইসলামি ছাত্র শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা করেছে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে আমাদের প্রস্তাব ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে সংস্কার করা। আমরা মেধার ভিত্তিতে ছাত্ররাজনীতি চাই। কারণ ছাত্ররাই দেশ গড়বে। গত ১৫ বছর ছাত্রলীগের জুলুমতন্ত্র ছিল ,যা ছাত্ররাজনীতি নয়। আমরা একটি পলিসি ডায়ালগের আহ্বান জানিয়েছি। যেখানে ফ্যাসিবাদের দোসররা বাদে বাকীরা থাকতে পারবে।


সাভায় ছাত্রশিবির ফ্যাসিবাদের সময় গঠিত সিন্ডকেট ভেঙ্গে নতুন সিন্ডকেট গঠনের দাবি জানিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটু স্থিতিশীল হলেই দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।  
 

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না সে বিষয়ে একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আমাদের প্রধান চিন্তা এখন দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা। একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই সবাইকে ডেকে আলোচনা করলাম।


২ দফা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কাইয়ুম ও সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল; ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ  সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন; গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহবায়ক কমিটির সাজেদুল ইসলাম ও প্রজ্ঞা চৌধুরী; বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আতিক চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইম উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আদনান আজিজ; ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান; বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা ও সাধারণ সম্পাদক সামি আব্দুল্লাহ; ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক; ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ; সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ঢাবি শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) ঢাবি শাখার সভাপতি সুহাইল আহমেদ শুভসহ প্রমুখ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!