বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

জাবিতে শিবিরবিরোধী মিছিলকারীদের শিবিরের অভিনন্দন

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

জাবিতে শিবিরবিরোধী মিছিলকারীদের শিবিরের অভিনন্দন

ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতার প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যরাতে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একটি দল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। ছাত্রশিবিরের গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিরোধিতায় আয়োজিত এই বিক্ষোভকে স্বাগত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিরোধিতায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সকল রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় সকল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিলটি বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায়।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান- এই দুটি অধ্যায়কে যারা অস্বীকার করবে, তাদের জনগণ কখনোই ক্ষমা করবে না। শিবির যে প্রেস রিলিজ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে, সেখানে তারা মিথ্যাচার করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা কবে মিছিল করে? গত ১৫ জুলাই রাতে মেয়েরা মিছিল করেছিলো যখন ছাত্রলীগ তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। একইভাবে, মেয়েরা শিবিরের বিরুদ্ধেও মিছিল করেছিল, শিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে তাড়ানোর জন্য।

ছাত্রশিবিরকে কখনোই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বা শ্রমিক হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেখা যায়নি। তারা সবসময় শাহবাগ ও শাপলা চত্বরের বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যা আওয়ামী লীগেরও রাজনৈতিক কৌশল। যে সংগঠনের হাতে রক্তের দাগ আছে, তাদের রাজনীতি করতে হলে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে। এটি সামাজিক বিচার কিংবা আইনি বিচার হতে পারে। এজন্য তাদের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাসে আসতে হবে।

এর আগে, ক্যাম্পাসে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সকল দলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে প্রায় ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে আসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতা। মঙ্গলবার রাত ১১টায় প্রকাশিত বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সাকি স্বাক্ষর করেন, যেখানে শাখা সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মুহিবের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

আরবি/ এইচএম

Link copied!