বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবি প্রশাসন ভবনে তালা

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবি প্রশাসন ভবনে তালা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সহায়ক কেবল সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত ১ শতাংশ কোটা বাতিলে দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় এ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য পোষ্য কোটা সম্পুর্ণরূপে বাতিল করে শুধু মাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর প্রেক্ষিতে রাত ৮টায় আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন করে সকাল ১০ ভেতর পোষ্যকোটা বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তির সময় বেধে দেয় এবং দাবি না মানা হলে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দেয়।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‍‍`পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক‍‍`, ‍‍`লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাচতে চাই‍‍`, ‍‍`পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে‍‍`সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও রাবি পোষ্য কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‍‍`গতকাল প্রশাসন নতুন সিদ্ধান্ত জানায় এবং উপাচার্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ করলে তা হবে অন্যায় দাবি। আমরা তো ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই আসতে চাই। কিন্তু, আপনারাই ভর্তি পরীক্ষার আগেই সিট রিজার্ভ করছেন। তাহলে অন্যায় দাবি কোনটা? আমার প্রশ্ন রইল। অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দিতে হবে।

কামরুল ইসলাম সজীব, আমাদের জুলাইয়ের মূল ম্যান্ডেট ছিল কোটা বাতিল। পরবর্তীতে সরকারের বল প্রয়োগে তাদেরই পতন হয়েছে। এর পরেই নতুন প্রশাসন ন্যায্যতার ভিত্তিতেই চেয়ারে বসেছে। কিন্তু, চার মাস পেরোতেই আমাদের আশা ব্যহত হয়েছে, কোটার বিরুদ্ধে আবার স্লোগান দিতে হচ্ছে। এতে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের ভেতরেই বাতিল করে নতুন সিদ্ধান্তে আসতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে কথা বলে শুধুমাত্র এ বছরের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখেছি। এর পরিমাণ আগামীতে বাড়ার সম্ভাবনা নেই বরং এটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে দাবি তুলেছে, তা আমার বোধগম্য নয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!