ঢাকা শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

একের পর এক বাসে করে কাকরাইলে জড়ো হচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
সমাবেশে যোগ দিতে বাসে করে আসছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

আবাসনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোড় থেকে যমুনার দিকে যেতে সড়কের ডানপাশে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে বসে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমাবেশে যোগ দিতে পর্যায়ক্রমে বাসে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আসছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে গণ-অনশনে বসবে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রাস্তায় বসে স্লোগান দিচ্ছেন। মোড়ে থাকা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সারারাত ওই জায়গাটিতে অবস্থান নিয়ে আছেন বলে জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের থেমে থেমে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীরা, ‘এক দুই তিন চার, হল আমার অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মানি নারে মানি না, বৈষম্য মানি না’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে সেখানে কিছু শিক্ষকদের এসে যোগ দিতে দেখা গেছে। সোয়া ১০টার কিছু পরে সেখানে একটি বাসে করে শিক্ষার্থীরা এসে পৌঁছান। সাড়ে ১০টার দিকে আরেকটি বাস এসে পৌঁছায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ আল আহাদ সকাল ১০টার দিকে বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রথমে জড়ো হয়েছেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে সবাই কাকরাইলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা পৌঁছানোর পরেই সমাবেশ শুরু করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন গণ-অনশন কর্মসূচি ও সমাবেশের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

কর্মসূচি ঘোষণা করে অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন বলেন, আজকে দুই দিন অতিবাহিত হতে চলছে।সরকারের কর্ণকুহরে আমাদের আওয়াজ পৌঁছাচ্ছে না। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো গ্রিন সিগন্যাল পাইনি। ওনারা (সরকার) আমাদের কথা শুনছেন না, আমাদের কথা শোনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না।’