অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি ও শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১-এর নিচতলায় (গ্রাউন্ড ফ্লোর) এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা দ্রুততম সময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব ও আবাসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সীমিত আয়তনের কারণে ভবিষ্যতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পরিবহন সংকটের বিষয়েও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, শহর থেকে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত বাস নেই। বর্তমানে যে বাসগুলো চলছে, তার অধিকাংশই চলাচলের উপযোগী নয়। বৃষ্টির দিনে বাসের সিট ভিজে যায়, আর অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে অনেক সময় বাসের দরজা ধরে ঝুলে যেতে হয়।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রথম ধাপ শেষ হয়। দীর্ঘ সময় পর চলতি বছরের শুরুর দিকে দ্বিতীয় ধাপের উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রায় ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সম্প্রতি প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্ব তিনজন শিক্ষককে (পিডি) প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫টি বিভাগে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। অথচ এই ২৫টি বিভাগের জন্য শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র ৩৬টি, যেখানে অন্তত ৭৫টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। ফলে একাধিক বিভাগের ক্লাস একই কক্ষে ভাগাভাগি করে নিতে হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র চারটি আবাসিক হল রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক ২ হাজার শিক্ষার্থী থাকতে পারে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে হয়। উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোট ৩৫টি গাড়ি কেনার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৫ সাল পর্যন্ত এসে সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র ২২টি গাড়ি। এর মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর পরিবহনের জন্য নির্ধারিত বাস রয়েছে মাত্র ১১টি।