ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ডিজিটাল ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে কলা অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহে এই ডিভাইস বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কলা অনুষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ডিন হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। তন্মধ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করাটা জরুরি ছিল, কেননা কলা ভবনে পানির স্তর অনেক নিচে থাকায় টিউবওয়েল স্থাপন করা যাচ্ছে না। আগে আমাদের অনুষদ ভবন থেকে পানি বহন করে নিয়ে আসতে হতো যা অসুবিধাজনক ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, এই অনুষদভুক্ত বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যে কথা চিন্তা করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করায় কলা অনুষদের ডিনকে ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে পানির ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, এটা নিয়মিত চালুও রাখতে হবে, নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে যথাযথভাবে মেইনটেইন করতে হবে। পানির অপচয় রোধ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, একটি বিরান অঞ্চলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রকৃতি এখন অনেকটাই সুশোভিত। বিশুদ্ধ পানি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আর একজন আদর্শ ছাত্রের কাছে অবশ্যই একটি ব্যাগ থাকে, ব্যাগে বই খাতা কলম ছাড়াও একটি ছাতা ও পানির বোতল থাকে। তোমরা অনেকেই ভাবতে পারো সে পানির বোতল শুধু বাচ্চাদের টিফিনে ব্যবহারের জন্য কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। কিডনি লিভার সচল রাখতে পানির প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা যেন সবসময়ই সেবা পায় সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।