সরকার ঘোষিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা আগামী রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা জানান, সরকারের প্রজ্ঞাপনে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানানো হলেও তা মানা হয়নি। এ কারণে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘সরকার যে ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করেছে, তা শিক্ষকদের সঙ্গে পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে এই টাকায় পরিবারের এক দিনের বাজারও হয় না। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি এবং মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে শিক্ষকরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণাও দেওয়া হতে পারে।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, যদি এ সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তবে তারা অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন। তাদের দাবি মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সংগঠনটি ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন ও সর্বজনীন বদলি চালুর দাবি জানিয়েছিল। ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং ১২ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।