যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। যা বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে নতুন করে বৃহৎ বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে চীনের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। নতুন এই ঘোষণার ফল চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াল ১৩০ শতাংশ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সব রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে এবং যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রপ্তানির ওপরও নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করবে। এই পদক্ষেপটি মূলত চীনের প্রযুক্তি খাতকে লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, চীন যে নজিরবিহীন অবস্থান নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। নতুন শুল্ক নভেম্বরের ১ তারিখের মধ্যেই কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক বৈরিতার অভিযোগ এনে জানান, তিনি আসন্ন এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সম্মেলনের (৩১ অক্টোবর শুরু) ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করতে পারেন। তিনি চীনের দুর্লভ খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পাল্টা জবাবে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছেন বলেও জানান।
সম্প্রতি বেইজিং দুর্লভ খনিজের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে—যা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপ্রযুক্তিশিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ সেই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদেই যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল, যা পরে দুই দেশের মধ্যে ৯০ দিনের এক চুক্তির মাধ্যমে স্থগিত করা হয়। কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ ৯ নভেম্বরের দিকে শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আর্থিক বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সংঘাত বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।