ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

৯ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও ৮ নাগরিকের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের আট নাগরিক এবং নয়টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানি তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে জড়িত।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঘোষিত সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এই আট নাগরিক ও নয়টি কোম্পানিসহ মোট প্রায় ৪০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ‘অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি)’ ইরান থেকে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তেল ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) পরিবহনে সহায়তা করার অভিযোগে আরও ৬০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে কালোতালিকাভুক্ত করেছে। এই তালিকায় চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুম্বাই ভিত্তিক সিজে শাহ অ্যান্ড কোং, কেমোভিক, মোডি কেম, পারিচেম রিসোর্সেস, ইন্ডিসল মার্কেটিং, হরেশ পেট্রোকেম, শিব টেক্সচেম এবং দিল্লি ভিত্তিক বিকে সেলস কর্পোরেশন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মতে, এই সংস্থাগুলো গত কয়েক বছর ধরে কোটি কোটি ডলারের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল আমদানি করেছে।

তালিকাভুক্ত পাঁচ ভারতীয় নাগরিক হলেন কেমোভিকের পরিচালক পীযূষ মাগনলাল জাভিয়া, ইন্ডিসল মার্কেটিং পরিচালক নীতি উন্মেশ ভট্ট এবং হরেশ পেট্রোকেমের পরিচালক কমলা কাসাত, কুণাল কাসাত ও পুনম কাসাত।

এছাড়া ওএফএসি তালিকায় আরও তিন ভারতীয় নাগরিক বরুণ পুলা, আয়াপ্পান রাজা এবং সোনিয়া শ্রেষ্ঠার নাম রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানি এলপিজি পরিবহনকারী জাহাজগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ওএফএসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আজকের পদক্ষেপের ফলে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সমস্ত সম্পত্তি এবং স্বার্থ যা যুক্তরাষ্ট্রে আছে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে আছে, তা অবরুদ্ধ করা হবে।’